জেলা দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর ১৯৯৭ সালে কনস্টেবল পদে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি জ্ঞান আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানে নামে।
এরপর আলমগীর হোসেনের কাছে তার সম্পদের বিবরণী চায় দুদক। তিনি দুদকের কাছে তার ৭২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮ টাকা সম্পদের মালিকানা অর্জনের ঘোষণা দেন।
সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৪৫ লাখ ২ হাজার ৭০১ টাকা গ্রহণযোগ্য আয় এবং ১৯৯৭ থেকে ২০১৯ এ ২২ বছরে ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় পাওয়া যায়। ফলে পারিবারিক ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জন ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৮ টাকা। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত আলমগীর তার জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী জানান, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী এসআই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।